২০২৪ সালের নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই নিয়ে কিছু কথা:-
পূর্বের শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা এ পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণ না করলেও নবম শ্রেণির শিক্ষাক্রম এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন তারা সহজেই অনুধাবন করতে পারে।
ফলে শিক্ষার্থীরা নতুন ও পুরোনো পদ্ধতির পার্থক্যগুলো গভিরভাবে বুঝতে পারবে।
বাস্তব অভিজ্ঞতার ফলে তারা নিশ্চয় বুঝতে পারছে যে, এখন আর জ্ঞানার্জন কেবল পাঠ্যবই পড়া এবং নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তর ও কিছু তথ্য মুখস্থ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
এই শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা ও জ্ঞানার্জনের অনেক কাজ তারাই সরাসরি করবে। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কখনো আবার মা-বাবা এবং পরিবারের বড়োরাও সাহায্য করবেন।
এই পাঠের অনেক পরিকল্পনা ও আনুষাঙ্গিক সব কাজ তাদের দ্বারা সম্পন্ন হবে।
অনেক কাজ দলে মিলে করবে, আবার কিছু কাজ একাও করবে।
এভাবে সরাসরি অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যা জানবে, শিখবে সেসব জ্ঞান ও দক্ষতা তো তাদেরই অর্জন।
শিক্ষার্থীরা এখন প্রশ্ন করতে পারবে, উত্তরগুলো নিজেরাই খুঁজে নিতে পারবে।
ফলে একদিকে যেমন অন্যের তৈরি প্রশ্নের ও অন্যের তৈরি উত্তর মুখস্থ করার মতো একঘেঁয়ে ক্লান্তিকর কাজ করতে হবে না।
আবার অন্যদিকে নিজেরাই বুদ্ধি খাটিয়ে, অনুসন্ধান করে, বই-পুস্তক ঘেঁটে এবং শিক্ষকদের সাহায্য নিয়ে নিজেদের পড়া নিজেরাই তৈরি করতে পারবে।
এভাবে যে অভিজ্ঞতা হয়, যে সাফল্য আসে, তার সবটা মিলে পড়ালেখাটা এক আনন্দময় কাজ হয়ে ওঠে।
নতুন শ্রেণির নানান ধরনের নতুন পাঠ নিশ্চয়ই তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়েই হাজির হয়।
তবে আমরা বিশ্বাস করি, চ্যালেঞ্জ মোকবিলার জন্য তাদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে।
পাশাপাশি তাদের আছে কৌতূহল, বিস্ময়বোধ, প্রাণশক্তি এবং আনন্দিত হওয়ার ক্ষমতা। ইন্দ্রিয়গুলো এতে সহায়ক ভূমিকা নেয়।
আর মজার ব্যাপার হলো এগুলো টাকা-পয়সার মতো নয়, ব্যবহারে খরচ হয় না বরং বাড়ে।
কারণ, এসবই শিক্ষার্থীদের মনের সম্পদ, তারা যত চর্চা করবে, ততই এগুলো ঝকঝকে থাকবে, কাজে হবে দক্ষ।
এই ইন্দ্রিয়ের প্রেরণায় তাদের নতুন নতুন ক্ষমতার প্রকাশ ঘটবে। প্রথম ডাক পড়বে বুদ্ধির।
নিজেদের বুদ্ধি খাটাতে হবে, ভাবতে হবে, আবার ভাবতে গেলে যুক্তির প্রয়োজন। সেটাও ব্যবহারে না ফুরিয়ে উল্টো ধারালো হয়।
এ হলো চর্চার বিষয়। এর জন্য চাই বুদ্ধিকে কাজে লাগানো, যুক্তিতে শান দেওয়া।
আর ইন্দ্রিয়গুলোকে সজাগ রাখতে হবে, তাতে এগুলোর দক্ষতাও বাড়বে।
কেউ কেউ বলছেন নতুন ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেই। কথাটা একদম ভুল।
এখন বরং সারা বছর ধরেই যেমন পড়াশোনা ও শেখার কাজ চলবে, তেমনি মূল্যায়নও হতে থাকবে বছরব্যাপী।
নতুন পদ্ধতিতে প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কতকগুলো যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সেখানে কিন্তু কোনো ছাড় নেই, তাতে উত্তীর্ণ হতেই হবে।
নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান PDF বই ডাউনলোড লিংক।
নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তা মন্তব্য ঘরে লিখে ফেলুন।