ওয়াইফাই প্রোভাইডার চাইলে কি আমাদের ব্রাউজিং History দেখতে পারবে?
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ও বিনোদনের উৎস হিসেবে তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় ইন্টারনেটের ব্যবহারের তুলনা নেই বললেই চলে। দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে।
ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেক ধরণের প্রশ্নের ঘুরপাক খায়। এদের মধ্যে তেমন একটি প্রশ্ন সকলের মনে উদয় হয়েছে আর তা হলো ‘ওয়াইফাই প্রোভাইডার চাইলে কি আমাদের ব্রাউজিং History দেখতে পারে’।
প্রযুক্তি প্রিয়’র আজকের এই আর্টিকেলে এই প্রশ্নের উত্তর সহজে বুঝানোর জন্য নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে—
ওয়াইফাই প্রোভাইডার চাইলে আপনি কোন ওয়েবসাইট বিগত সময় ধরে ব্রাউজ করেছেন, কতক্ষণ ব্রাউজ করেছেন সেটা দেখাতে পারবেন।
কিন্ত ফেসবুকে কাউকে কি ধরণের টেক্সট দিচ্ছেন বা ভিডিও পাঠাচ্ছেন তা দেখতে পারবেন না। আপনি কোন অ্যাপে কতোটুকু ডাটা ব্যবহার করলেন আর কতক্ষণ ছিলেন করলেন এটিও দেখতে পারবে।
অর্থাৎ উনারা কেবলমাত্র আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি জানতে পারবে কিন্তু আপনি কী করেছেন সে সাইটে সেটা এনক্রিপ্ট করা থাকে তাই তা জানতে পারবে না।
আবার বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আপনি অন্য কান্ট্রি সিলেক্ট করে ভালো ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই তখন তারা ব্রাউজিং হিস্ট্রি এর জায়গায় আপনি যে ভিপিএন ইউজ করছেন তাও জানতে পারবে।
তবে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের হাজার হাজার গ্রাহক থাকে। তাই তাদের বসে বসে এগুলো চেক করে দেখার সময় আদৌ নেই।
আর আপনি যদি চান উনারা কোনো চেষ্টা করলে না দেখুক, তাহলে আপনি ভালো কোনো VPN এবং ISP’র DNS বাদ দিয়ে অন্য কোনো DNS যেমন— Cloudflare ব্যবহার করতে পারেন।
আবার আপনি কোনো বন্ধুকে WhatsApp বা Massenger—এ কাউকে কোনো টেক্সট, ছবি ও ভিডিও পাঠালেও উনারা এসবের কিছু দেখতে ও জানতে পারবে না। কিংবা আপনার ডিভাইসের গ্যালারিতে কি আছে সেটাও দেখতে পারবে না।
বলা চলে, তারা চাইলে প্রতি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন ইন্টারনেটে কে কি ক্লিক করছে, কোন বিষয়ের প্রতি কোথায় তাদের ইন্টারেস্ট তা দেখার ও সংরক্ষণ করতে পারে।
আপনার দৈনিক ফেসবুক ব্যবহারের সময় ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যমসহ কোন কোন সাইটে আপনি জানার জন্য কি সার্চ করছেন তার সবই দেখতে পারে। আবার কোন বন্ধুর নিকট কতো সময় ধরে চ্যাটিংয়ে সময় দিচ্ছেন তাও তারা নজর রাখতে পারে।
প্রয়োজনে আপনি কোন ওয়েবসাইটে কী ছবি আপলোড করে প্রকাশ করেছেন তাও তাদের নখদর্পণে থাকে। আর এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা সহজেই সাইবার অপরাধীদের ট্রাক করে আটক করে ফেলতে পারে।
তাছাড়া ব্যবহারকারীর এসবে তথ্য উপাত্তের ডাটা তারা চাইলে বিজ্ঞাপন প্রকাশকারীদের কাছেও হস্তান্তর করতে পারে অর্থের বিনিময়ে।
আবার ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের গড় ক্লিকের হারের উপর সেই ধরণের বিজ্ঞাপনগুলো সামনে চলে আসে। এসব তথ্য সংরক্ষণ করে তার উপর বিভিন্ন প্রমোশনাল তথ্য গ্রাহকদের নিকট প্রেরণ ও অফার দেওয়াসহ নানান কাজেও ব্যবহার করতে পারে।
এক কথায় বলা চলে ইন্টারনেট জগতে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সার্চ ক্লিকের খবরও তাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে।