১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো স্মার্টফোন ২০২৩ বাংলাদেশ।

১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন কোনটি?
আসসালামু আলাইকুম পাঠকগণ! বাংলাদেশে বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি তাদের ফ্যাক্টরি স্থাপন করায় দেশের বাজারে মোবাইল ফোনের দাম কমতে শুরু করেছে।
পূর্বে যে কনফিগারেশনের মোবাইল ১৩-১৫ হাজার টাকায় কিনতে পাওয়া যেতো বর্তমানে তার চেয়ে ভালো মানের মোবাইল ১০,০০০ টাকায় পাওয়া যায়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো ১০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল কোনগুলো সেটা নিয়ে। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা উপকৃত হবেন।
পাঠ্যসূচি
এই বাজেটে কোন ব্র্যান্ড ভালো? (১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩ বাংলাদেশ।)
মোবাইল কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা হলো একদম এন্ট্রি লেভেল বাজেট। মূলত ভালো ধরনের একটা মোবাইল কিনতে গেলে এর চাইতে কম বাজেটে না যাওয়াই উত্তম।
১০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড হলো ইনফিনিক্স, টেকনো, ওপপো, ওয়ালটন, সিমফোনি, আইটেল ইত্যাদি।
কিন্তু আপনি ১০ হাজার টাকার মধ্যে শাওমি মোবাইল, রিয়েলমি, ১০ হাজার টাকার মধ্যে ভিভো মোবাইল, স্যামস্যাং এর মতো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাবেন কিন্তু তা মোটেও ভালো হবে না বাজেট অনুযায়ী।
১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বাজেটে অবশ্য রিয়েলমি, শাওমির মতো চাইনিজ ব্র্যান্ডের বেশ ভালো ফোন পাওয়া যায়, কিন্তু বাজেট ১০,০০০ টাকার চেয়ে কিছুটা বেশি হয়ে যায়।
আজকের এই ১০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল ফোনের লিস্টে ১০ হাজার টাকার চেয়ে সামান্য বেশি মূল্যের দুইটি ফোন রেখেছি এগুলোর মানের জন্য।
এই বাজেটে ফোন কেমন হবে? (দশ হাজার টাকার মধ্যে সেরা ফোন ২০২৩ বাংলাদেশ।)
যেহতু এটি একটি এন্ট্রি লেভেল বাজেট সেহেতু ফোন থেকে আহামরি কিছু আশা করা যায় না।
১০ হাজার টাকার স্মার্টফোনে আশা করা যায় ভালো একটা ডিসপ্লে থাকবে, ব্যাটারি ক্যাপাসিটি নূন্যতম ৪,৫০০ mAh, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, স্টোরেজ হিসেবে র্যাম ৩/৪ জিবি ও রম ৩২ জিবি এবং ছবি তোলার জন্য মোটামুটি ভালো একটা ক্যামেরা সেন্সর থাকবে।
১০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল ফোন হলো-
১. Infinix Hot 10 Play
২. Oppo A12
৩. Techno Spark 7
৪. Symphony Z35
৫. Itel Vision 2 Plus
Infinix Hot 10 Play (১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন ২০২২ বাংলাদেশ।)

ইনফিনিক্স বাংলাদেশের বাজারে একের পর এক বাজেট কিং স্মার্টফোন লঞ্চ করে চলেছে। এন্ট্রি লেভেলের রেঞ্জে এই ব্র্যান্ডের সুনার বেশ ভালো।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইনফিনিক্স বাংলাদেশে Infinix Hot 10 Play ফোনটি লঞ্চ করে দুইটা ভেরিয়েন্টে।
একটি হলো ৩/৩২ জিবি স্টোরেজ আর অন্যটি হলো ৪/৬৪ জিবি স্টোরেজের। ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের ফোনটির অফিসিয়াল দাম বাংলাদেশ বাজারে রাখা হয়েছে ৯,৯৯০ টাকা এবং ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের ফোনটির দাম ধরা হয়েছে ১০,৯৯০ টাকা।
তবে দরদাম করে কিনতে পারলে ৪০০-৫০০ টাকা ডিসকাউন্টে কিনতে পারবেন।
উভয় ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৮২ ইঞ্চির বিশালাকারের HD+ ডিসপ্লে যেটি আইপিএস এলসিডি (IPS LCD) প্যানেলের এবং ৬,০০০ mAh ব্যাটারি।
সাথে থাকছে ১০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার, যেহেতু ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বেশি এবং চার্জার তুলনামূলক ছোট তাই ফোনটি ফুল চার্জ হতে বেশ সময় লাগবে (৩.৫ ঘন্টা)।
যদি মাল্টিমিডিয়া উপভোগের জন্য নেন তাহলে 10,000 টাকার মধ্যে এটি সেরা মোবাইল ফোন।
ফোনটির পেছনে থাকছে দুইটি ক্যামেরা সেন্সর, মেইন ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের এবং ফ্রন্টে থাকছে ৮ মেগাপিক্সের সেলফি ক্যামেরা।
প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Mediatek Helio G35 (12 nm) অক্টা-কোর প্রসেসর, যেটি দিয়ে মোটামুটি ভালো পারফম্যান্স পাবেন।
তবে এই বাজেট রেঞ্জে কোনো ফোনেই গেমিং প্রসেসর ব্যবহার করা হয় না, সেহেতু এটা দিয়েও গেমিং করা যাবে না।
যদি জোরপূর্বক গেমিং করেন তাহলে ফোন অবশ্যই ল্যাগ করবে এবং পারফম্যান্স ড্রপ করবে। এই ফোনটি ৩টি কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে – Aegean Blue, Morandi Green, Obsidian Black, Purple।
Infinix Hot 10 Play এর স্পেসিফিকেশন
৬.৮২ ইঞ্চি HD+ ডিসপ্লে (আইপিএস এলসিডি)।
১৩ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা (ডুয়েল সেন্সর, Full HD)।
৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা (Full HD)।
৬,০০০ ব্যাটারি।
১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জার।
৩/৪ জিবি র্যাম এবং ৩২/৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
মিডিয়াটেক হেলিও জি ৩৫ প্রসেসর ,১২ ন্যানোমিটার।
Oppo A12 (কম দামে ভালো স্মার্টফোন ২০২৩ বাংলাদেশ।)

ওপপো সাধারনত এন্ট্রি লেভেলের বাজেটে ফোন ম্যানুফ্যাকচার করে না, তারা মিড বাজেটে বেশ ভালো মানের ফোন বাজারে লঞ্চ করে।
তবে Oppo A12 ফোনটি দাম বিবেচনায় বেশ ভালো, এমনকি এর ইউজার এক্সপেরিয়েন্সও ভালো। এই মোবাইলটির দুইটি ভেরিয়েন্ট রয়েছে, একটি হলো ৩/৩২ জিবি স্টোরেজের আর অন্যটি ৪/৬৪ জিবির।
৩/৩২ জিবি ভেরিয়েন্টের অফিসিয়াল দাম বাংলাদেশের বাজারে ৯,৯৯০ টাকা যেটি প্রথম দিকে ১০,৯৯০ টাকা ছিলো। ওপপোর এই স্মার্টফোনটি দেখতে বেশ মিনিমাল এনং থিকনেস অনেক কম।
ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে ৬.২২ ইঞ্চির HD+ আইপিএস এলসিডি প্যানেল। যারা ছোট-খাটো এবং মিনিমাল একটা ফোন চান এটি তাদের বেশ পছন্দ হবে।
এই বাজেটে সাধারনত গোরিলা গ্লাস থাকে না, কিন্তু এই মোবাইলটিতে Corning Gorilla Glass 3 প্রটেকশন পাচ্ছেন যেটি সত্যিই চমৎকার, ব্যাটারি হিসেবে থাকছে ৪,২৩০ mAh এবং সাথে থাকছে না কোন ফাস্ট চার্জার।
পেছনে দুইটি ক্যামেরা যার একটি ১৩ মেগা পিক্সেল এবং অন্যটি ২ মেগাপিক্সেলের। ১৩ মেগা পিক্সেল সেন্সর হলেও এর ছবির আউটপুট কোয়ালিটি খুবই দারুণ।
ফ্রন্টে আছে ৫ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। ফোনটিতে দেয়া হয়েছে Mediatek Helio P35 এর ১২ ন্যানোমিটারের প্রসেসর যেটি G35 এর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে।
সর্বোপরি যারা খুব বেশি মাল্টি টাস্কিং, হেভি ইউস করেন না এই ফোনটি তাদের জন্য।
যারা মোটামুটি ছোট-খাটো মিনিমাল লুকের মধ্যে ভালো ক্যামেরা বিশিষ্ট একটা ফোন চান তাদের জন্য ১০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল হলো Oppo A12।
Oppo A12 এর স্পেসিফিকেশন।
৬.২২ ইঞ্চি HD+ ডিসপ্লে (আইপিএস এলসিডি)।
১৩+২ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা।
৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
৪,২৩০ mAh ব্যাটারি।
ফাস্ট চার্জার নেই।
৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
মিডিয়াটেক হেলিও পি৩৫ প্রসেসর ,১২ ন্যানোমিটার।
Techno Spark 7 (কম দামে ভালো মোবাইল ২০২৩ বাংলাদেশ।)

এন্ট্রি বাজেটে ভালো ফোন প্রস্তুতকারী আরেকটি ব্র্যান্ড হলো টেকনো (Techno)। যাদের সুনাম বাংলাদেশী মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে দিন দিন বৃদ্ধি পাছে।
এই ফোনটির আউটলুকের কথা বললে বাজেট অনুযায়ী সেরা। দুইটি কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে মোবাইলটি, সেগুলো হলো Spruce Green, Magnet Black।
যদিও ফোনটির অফিসিয়াল দাম ১১,৪৯০ টাকা, এর কোয়ালিটির জন্য এটি আমাদের লিস্টে রেখেছি।
মোবাইলটিতে রয়েছে মিডিয়া কনজাম্পশনের জন্য ৬.৫ ইঞ্চি HD+ আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। ৬,০০০ mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে এই মোবাইল ফোনটিতে যেটি চার্জ করতে ব্যবহার করা হবে ১০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার।
৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ এবং প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Mediatek Helio G70 (12 nm) প্রসেসর।
দাম অনুযায়ী এটি সেরা প্রসেসর। ফ্রি ফায়ার, পাবজি লাইট সহ এই ধরনের গেম অনায়াসে খেলা যাবে। ব্যাটারি বেশ বড় হওয়ায় অনেক্ষণ ধরেই মাল্টিমিডিয়া উপভোগ করা যাবে।
ব্যাক ক্যামেরায় রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটাপ, প্রাইমারি সেন্সরটি ১৬ মেগাপিক্সেলের এবং ফ্রন্টে রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
ব্যাক ও ফ্রন্ট উভয় ক্যামেরা দিয়ে Full HD ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। দিনের বেলায় মোটামুটি ভালো ছবি তোলা যায় স্মার্টফোনটি দিয়ে, কিন্তু কম আলোতে বেশ ভালো পরিমাণ নয়েজ লক্ষ্য করা গেছে।
যারা অল্প-আধটু গেমিং করেন এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করেন তাদের জন্য Techno Spark 7 একটি ভালো ফোন।
Techno Spark 7 এর স্পেসিফিকেশন
৬.৫ ইঞ্চি HD+ এলসিডি ডিসপ্লে।
১৬ মেগা পিক্সেল সহ ডূয়েল ক্যামেরা সেটাপ।
৮ মেগা পিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
৬,০০০ mAh ব্যাটারি।
১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জার।
৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
মিডিয়াটেক হেলিও জি৭০ প্রসেসর, ১২ ন্যানোমিটার।
Symphony Z35 (দশ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ফোন।)

সিম্ফোনি ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন অতি জনপ্রিয় হলে স্মার্টফোনের বেলায় এর জনপ্রিয়তা খুবই নগণ্য। তবে Symphony Z35 ফোনটি গ্রাহকদের কাছ থেকে বেশ ভালো পরিমাণে সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।
বলা যায়, ১০,০০০ টাকার মধ্যে একটি একটি সেরা মোবাইল ফোন। মাল্টিমিডিয়া কনজাম্পশন ও দীর্ঘসময়ের জন্য ইউস করতে চাইলে এটি একটা আদর্শ পছন্দ হতে পারে।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশালাকার ৬,০০০ mAh ব্যাটারি সেল, যা একবার ফুল চার্জ করলে টানা ১২-১৪ ঘন্টা মতো ব্যবহার করতে পারবেন।
ছবি তোলা ও ভিডিও রেকর্ডের জন্য ফোনটিতে দেওয়া আছে ১৩+২+০.০৮ মেগা পিক্সেলের ব্যাক ক্যামেরা সেটাপ ও ৮ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ সহ মোবাইলটিতে আছে MediaTek Helio G35 প্রসেসর, যেটি ১২ ন্যানোমিটারের।
এই স্মার্টফোনটি দিয়ে ভিডিও দেখা, ভালো ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ছবি তোলা সহ টুকিটাকি গেম খেলা যাবে। সর্বোচ্চ ফ্রি ফায়ার, পাবজি লাইট খেলা যেতে পারে। তবে ল্যাগ করার সম্ভাবনা আছে।
Symphony Z35 এর স্পেসিফিকেশন
৬.৮২ ইঞ্চির HD+ ডিসপ্লে।
১৩+২+০.৮ মেগা পিক্সেলের ব্যাক ক্যামেরা সেটাপ।
৮ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
৬,০০০ mAh ব্যাটারি।
১০ ওয়াট ফাস্ট চার্জার।
৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
মিডিয়াটেক হেলিও জি ৩৫ প্রসেসর।
Itel Vision 2 Plus (দশ হাজার টাকার মধ্যে মোবাইল ২০২৩ বাংলাদেশ।)

আইটেল একসময় বাংলাদেশে প্রচুর ফিচার ফোন বিক্রি করেছে, বর্তমানেও করছে। এছাড়া এন্ট্রি লেভেলের বাজেটে আইটেলের ফোনের জনপ্রিয়তাও কম না।
ভালো ভালো ফোন বাজারে আনতে সক্ষম হচ্ছে, সে সাথে গ্রাহকগণও খুশি হচ্ছে। ২০২১ সালের জুন মাসে আইটেল Itel Vision 2 Plus ফোনটি রিলিজ করে।
১০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা মোবাইল ফোন এটি। প্লাস্টিক বডিতে তৈরি গ্লসি একটা লুক দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে।
৬.৮ ইঞ্চির বিশালাকার HD+ আইপিএস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটাপ যার একটি ১৩ মেগাপিক্সেল আর অন্যটি ৩ মেগাপিক্সেল, ৫ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।
উভয় দিকের ক্যামেরা দিয়েই Full HD (1080p) ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
৫,০০০ mAh ব্যাটারি ক্যাপাসিটি থাকলেও ফোনটিতে থাকছে না কোনো ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম।
ফোনটির দুইটি ভেরিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে বাজারে, এর মধ্যে ৩ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ওয়ালা ফোনটির অফিসিয়াল দাম ৯,৯৯০ টাকা।
দাম অনুযায়ী এতে ভালো প্রসেসর দেওয়া উচিত ছিলো, কিন্তু ব্যবহার করা হয়েছে Unisoc SC9863A অক্টা-কোর প্রসেসর। যেটি এই ফোনের জন্য একটা খারাপ দিক।
তবে আপনি যদি হেভি ইউস না করেন, মাল্টিমিডিয়া কনজাম্পশন থেকে শুরু করে ফোন কল, অডিও-ভিডিও কল ইত্যাদি কাজের উদ্দেশ্যে স্মার্টফোন কিনতে চান তাহলে এটা একটা ভালো আদর্শ হতে পারে।
Itel Vision 2 Plus এর স্পেসিফিকেশন
৬.৮ ইঞ্চির HD+ ডিসপ্লে (শুধু আইপিএস)।
১৩+৩ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা সেটাপ।
ফ্রন্টে ৫ মেগা পিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
৫,০০০ mAh ব্যাটারি।
৩জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
ইউনিসক SC9863A অক্টা-কোর প্রসেসর।
শেষ কথা, যেহেতু দশ হাজার টাকা স্মার্টফোন কেনার জন্য খুবই অল্প বাজেট। তাই এই বাজেটের মোবাইল ফোন থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না, আশা করাও বোকামি।
যদি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য ফোন কিনতে চান তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন একটু ভালো মানের ফোন কিনতে। কারন এন্ট্রি লেভেলের যে ফোনগুলো তৈরি হয় সেগুলোতে ভালো মানের কম্পনেন্ট ব্যবহার করা হয় না, দীর্ঘদিন ভালোভাবে ব্যবহার করাও যায় না।
মোটামুটি ২০-২৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো ব্র্যান্ডের অসাধারণ সব ফোন পাওয়া যায়। সেগুলো ক্যামেরা, ডিসপ্লে, প্রসেসর, ব্যাটারি ইত্যাদির ভালো সমন্নয় থাকে।
তবে যদি বাজেট ঘাটতির কারণে দশ হাজার টাকার মধ্যেই স্মার্টফোন কিনতে চান তাহলে উপরের লিস্ট থেকে যেকোনো নিতে পারেন।
এখানে আমরা মানের ভিত্তিতে লিস্টটা সাজায়নি, তাই আপনার পছন্দ, চাহিদা ও বাজেট মোতাবেক যেকোনোটা নিতে পারেন।